বলা হয়ে থাকে, ‘হাইওয়ে’ সিনেমার মাধ্যমেই আলিয়া ভাট অভিনেত্রীর খেতাব পেয়েছিলেন। এই সিনেমায় আলিয়া ভাটের দুর্দান্ত অভিনয় সবার মনে এখনও দাগ কেটে রেখেছে। অথচ আপনি জানেন কী, ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় অভিনয়ই করতে চাননি আলিয়া! এই খবর দিয়েছেন খোদ নির্মাতা ইমতিয়াজ আলী।
ইমতিয়াজ আলী যখন ‘হাইওয়ে’ নির্মাণ করেন, তখন আলিয়ার কাছে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়। কিন্তু আলিয়া স্ক্রিপ্ট পড়ে রিতিমত খাবড়ে গিয়েছেন এই ভেবে যে, তিনি কাজটি ঠিকঠাক করতে পারবেন না। বাবা মহেশ ভাট মেয়েকে রাজি করিয়েছিলেন, ‘হাইওয়ে’ সিনেমা সাইন করতে। ইমতিয়াজ আলী সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এ বিষয়ে কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, প্রথমে তিনি একজন দক্ষ ও পরিণত অভিনেত্রী চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত আলিয়াকে দেখে মনে হয়েছিলো তার, যে ১৮ বছর বয়সী আলিয়াই হবেন চরিত্রের জন্য পারফেক্ট।
ইমতিয়াজ আলীর সৃষ্টি করা প্রত্যেকটি চরিত্র অমর হয়ে আছে। যেমন ‘জাব উই মেট’-এ গীত (কারিনা কাপুর), ‘তামাশা’ সিনেমার বেদ (রণবীর কাপুর) এবং ‘হাইওয়ে’তে বীরা (আলিয়া ভাট)।
ইউটিউব চ্যানেল গেম চেঞ্জারে কথা বলতে গিয়ে ইমতিয়াজ বলেন, ‘আমি যখন কোনও স্ক্রিপ লিখি, তখন আমার মনে একটা চরিত্র থাকে।’
তিন ব্যাখ্যা করে বলেন, “আমি সবসময় ‘জাব উই মেট’ সিনেমার গীত এর জন্য কারিনাকে চেয়েছিলাম। প্রথমে কারিনাকে পাওয়া যাচ্ছিলো না। কিন্তু শেষপর্যন্ত তিনি কাজটি করেন। গীত চরিত্রে অভিনয় করার জন্য কারিনাই আমার প্রথম পছন্দ ছিলেন।” এরপর তিনি ‘হাইওয়ে’র প্রসঙ্গে কথা বলেন। হাইওয়ে লেখার সময়, তিনি প্রধান চরিত্রের জন্য আরও পরিণত কোনও অভিনেত্রীর কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তুলনামূলকভাবে নতুন ১৮ বছর বয়সী আলিয়া ভাটকে বেছে নিয়েছিলেন।
এ বিষয়ে ইমতিয়াজ বলেন, ” আমি ভেবেছিলাম ‘হাইওয়ে’তে একজন ৩০ বছর বয়সী, পরিণত অভিনেত্রীকে কাস্ট করবো। এমন একজন যিনি পৃথিবী দেখেছেন এবং বিদ্রোহ করবেন। কিন্তু যখন আমি আলিয়ার সাথে দেখা করি, তখন আমি ভেবেছিলাম, ‘এটিই সেই মেয়ে।’ আলিয়া তখন মাত্র ১৮ বছর বয়সী ছিলেন। কিন্তু চরিত্রটির জন্য প্রয়োজনীয় আবেগগত গভীরতা তার ছিল। তখন সে খুব বেশি কাজ করেনি, আর আমি তার ‘স্টুডেন্ট অব দ্য ইয়ার’ সিনেমাও দেখিনি, কিন্তু তার কথা বলার ধরণটা ছিল খুবই মনোমুগ্ধকর।” মজার ব্যাপার হলো, আলিয়ার কাস্টিংয়ে কেবল ইমতিয়াজই চেষ্টা করেননি, বরং মহেশ ভাটের প্ররোচনাতেই আলিয়া ‘হাইওয়ে’তে সাইন করেছিলেন।
এই নির্মাতা বলেন, ‘আমি তার বাড়িতে যেতাম। অন্যদিকে, ভাট সাহেব তাকে এটা করার জন্য রাজি করানোর চেষ্টা করছিলেন। আলিয়া একটু ভয় পেয়েছিলো কারণ প্রতিটি দৃশ্যেই তার উপস্থিতি ছিল। তিনি ভাবছিলেন, কাজটি করা হয়তো তাঁর জন্য খুব বেশি চ্যালেঞ্জের হবে।’ বলা দরকার, ‘জাব উই মেট’ যেমন কারিনা কাপুরের ক্যারিয়ারের জন্য গেম চেঞ্জার হয়ে উঠেছেলো তেমনি, ‘হাইওয়ে’ সিনেমাটি আলিয়ার ক্যারিয়ার গতিপথ পালটে দেয়। অর্থাৎ তার ক্যারিয়ারেও ‘হাইওয়ে’ গেম চেঞ্জার হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ‘হাইওয়ে’ সিনেমায় আলিয়ার বিপরীতে অভিনয় করেন রণদীপ হুদা।